লালমনিরহাট জেলা সদর উপজেলার কুলাঘাট  রত্নাই নদীর পাড় ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে চায় মিধুয়ার কুটির এলাকার  মানুষ। গ্রামবাসীরা রাস্তা, ঘরবাড়ি, জমি সহ জনপদ রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বারবার আবেদন করেও ফল পায় নি ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লালমনিরহাট  সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের মিধুয়ারকুটি গ্রামে রত্নাই নদীর ভাঙ্গনে প্রায় পঞ্চাশটি হতদরিদ্রের পরিবার ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরো শতাধিক ঘরবাড়ি। এরইমধ্যে নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে চলাচলের রাস্তা অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সেই সাথে সরিয়ে নেয়া হয়েছে মসজিদ সহ বিভিন্ন স্থাপনা । দরিদ্র এলাকাবাসী এতোদিন নিজেরাই চাঁদা ও শ্রম দিয়ে দেশীয় প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা করে আসছিল বলে তারা জানান।। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা  এই রত্নাই নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে তিন বছর আগে মিধুয়ার কুটির গ্রামে বাঁশের পাইলিং করলেও তা স্থায়ী ও কার্যকর না হওয়ায় সেই বছরেই ভেঙ্গে যায়।

কুলাঘাটের মিধুয়ার কুটির গ্রামের সাবেক মেম্বার মেহের কাজী  জানান, আমরা গ্রামের মানুষ   নিরূপায় হয়ে পড়েছি, আমরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কে জানাইছি, উপজেলা চেয়ারম্যান কে জানাইছি শুধু কথা দিয়ে যায় কিন্তু কাজ করেন না। এবার বর্ষা চলে এলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন ও বাঁধ মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

মসজিদের ইমাম ওমর আলী বলেন ভাঙ্গন প্রতিরোধে নদীর আর একটা ক্যানেল খনন করে গতিপথ পরিবর্তন ছাড়া এর বিকল্প নাই।

রাহেলা খাতুন জানান বন্যাতে যদি আমরা ভেসেও যাই তাও হামাক মেম্বার চেয়ারম্যান কেউই দেখতে আসে না, খালি ভোটের সময় আসে আর কথা দিয়া যায়, কোনো সাহায্য হামাক(আমায়) করেনা।

স্থানীয় জনগণ বাঁধ মেরামতের দাবিতে মানববন্ধন করে অভিযোগ করে তারা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এর আগে ভাঙন রোধে বাঁশের পাইলিং করে তাতে কোন কাজে আসে নাই বরং বরাদ্দের টাকা লোপাট হয়েছে। তাই আমরা এই নদীর জরুরী ভিত্তিতে স্হায়ীভাবে ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা চাই।

কুলাঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বলেন গ্রামবাসীরা অভিযোগ  করলেও বরাদ্দ না পাওয়ায় ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।